লেখক পরিচিতি:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লেখক পরিচিতি:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

জন্ম :

লেখক পরিচিতি:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর;

ঊনিশ শতকে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পরিবারেই বাংলা ১২৬৮ সালের ২৫ বৈশাখ (১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে) জন্ম গ্রহণ করেন।

বংশ পরিচয়:

জগদ্বিখ্যাত এ কবির পিতার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।

লেখক পরিচিতি:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শিক্ষাগত জীবন :

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদ্যালয়ের কোন আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত নন্ ছোটবেলা থেকেই তিনি লেখাপড়ায় অমনোযোগী ছিলেন। অথচ জ্ঞানের বিচিত্রপথে তাঁর পদচারণা এক মহাবিস্ময়ের বিষয়। তিনি ছিলেন একাধারে যুগস্রষ্টা কবি, গীতিকবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, নাট্যকার, চিত্র শিল্পী, গীতিকার, সুরকার এবং নৃত্য পরিকল্পনাকারী। তবে ১৮৬৮ সালে তাঁকে পারিবারিক নর্মাল স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি অল্পকালেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। তখন ঠাকুর পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী স্বগৃহেই শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ১৮৭৮ সালে তাঁর পিতা তাঁকে বিলাত পাঠান ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য, কিন্তু অভিভাবকদের এ প্রচেষ্টাও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।

ভূগোল, তথ্যপ্রবাহ ও ভূগোলের সাধারণ আলোচনা

সাহিত্য প্রতিভা:

রবীন্দ্রনাথ যেন ভারত আত্মার মূর্ত প্রতীক। শিশুকাল থেকেই তার সাহিত্য প্রতিভার বিকাশ ঘটতে থাকে। রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘বনফুল’। এটি তাঁর পনের বছর বয়সের রচনা। ১৮৮৩ সালে তাঁর লেখা ‘প্রভাত সংগীত’ রচিত হবার পর থেকেই অমিয় ধারায় ও বিচিত্র গতিপথে তাঁর একের পর এক গল্প, কবিতা, গান, নাটক, উপন্যাস প্রকাশিত হতে থাকে। গীতাঞ্জলির ইংরেজি ভাবানুবাদ ১৯১৩ সালে তাঁর জন্য এনে দেয় ‘নোবেল পুরস্কার’। এই নোবেল পুস্কার শুধু রবীন্দ্রনাথেরই কাব্য স্বীকৃতি নয়, বরং বিশ্ব সাহিত্য সভায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আসনও সেই সঙ্গে পাকাপোক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

কর্মযোগী রবীন্দ্রনাথ:

রবীন্দ্রনাথ শুধু বড় সাহিত্য সাধক ও শিল্প স্রষ্টাই নন। মানব কলাণে তাঁর অবদান কোন সমাজসেবীর চেয়ে কম নয়। বাস্তব জীবনের দুঃখ-কষ্ট বিজড়িত নিয়ত সংগ্রামশীল মানব জাতির জন্য কবির গভীর ভালবাসা যেমন তাঁর লেখায় প্রকাশমান, তেমনি তিনি এদের কল্যাণের জন্যও কম প্রচেষ্টা করেননি। যেমন :

“ অন্ন চাই, প্রাণ চাই, আলো চাই, চাই মুক্ত বায়ু
চাই বল, চাই স্বাস্থ্য, আনন্দ উজ্জ্বল পরমায়ু। ”

দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য তিনি নিরন্তন চেষ্টা চালিয়েছেন। ১৯২১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে তিনি এক অমর কীর্তি রেখে যান।

মৃত্যু:

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ সালে (৭ আগস্ট, ১৯৪১) কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

লেখক পরিচিতি:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনাবলী

কাব্যঃ

বনফুল, কবি কাহিনী, শৈশব সঙ্গীত, সন্ধ্যা সঙ্গীত, কড়ি ও কোমল, মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালী, কণিকা, কথা ও কাহিনী, কল্পনা, ক্ষণিকা, নৈবেদ্য, স্মরণ, শিশু, উৎসর্গ, খেয়া, গীতাঞ্জলি, দীগিকাব্য, গীতালী, বলাকা, পলাতকা, পূরবী, লেখক, মহুয়া, বনবাণী, পরিশেষ, পুনশ্চ, শেষসপ্তক, পত্রপুট, শ্যালী, বীথিকা, ছড়ার ছবি, প্রান্তিক, সেজুতি, নবজাতক, সানাই, রোগশয্যায়, জন্মদিনে, আরোগ্য, শেষ লেখা ইত্যাদি।

নাটক ও গীতিনাট্য:

বাল্মীকি-প্রতিভা, কাল মৃগয়া, প্রকৃতির প্রতিশোধ, মায়ার খেলা, রাজা ও রাণী, তপতী, চিত্রাঙ্গদা, বিদায়-অভিশাপ, মালিনী, বিনি পয়সার ভোজ, নতুন অবতার ব্যঙ্গকৌতুক, গোড়ায় গলদ, বৈকুন্ঠের খাতা, চিরকুমার সভা, শরদোৎসব, ফালগুণী, বসন্ত, শেষবর্ষণ, মুকুট, প্রায়শ্চিত্ত, গুরু, অনূপ রতন, অচলায়তন, কালের যাত্রা, ডাকঘর, মুক্তধারা, বাঁশরী, চণ্ডালিকা, তাসের দেশ শ্যামা ইত্যাদি।

প্রবন্ধ সাহিত্য:

বিচিত্র প্রবন্ধ, পঞ্চভূত সাহিত্য, প্রাচীন সাহিত্য, ধর্ম, শান্তিনিকেতন, কালান্তর, সভ্যতার সংকট, লিপিকা, আত্মশক্তি, সঞ্চয়, সাহিত্যের পথে, সাহিত্যের স্বরূপ ইত্যাদি।

উপন্যাস ও বড়গল্প:

বৌঠাকুরাণীর হাট, চোখের বালি, নৌকাডুবি, রাজটিকা, ঘরে-বাইরে, চতুরঙ্গ, গোরা, শেষের কবিতা, যোগাযোগ, দুইবোন, মুকুট, ভিখারী চার অধ্যায়।

ছোট গল্প:

গল্পগুচ্ছ (চার খন্ড), গল্পসল্প, সে।

ভাষা ও ছন্দ :

বাংলা ভাষা পরিচয়ঃ শব্দতত্ত, ছন্দ।

বিজ্ঞান :

বিশ্বপরিচয়।

ভ্রমণ-কাহিনী :

পশ্চিম যাত্রীর ডায়েরী, ইউরোপ প্রবাসীর পত্র, জাপানযাত্রী, জাভাযাত্রীর পত্র।

পত্র সাহিত্য :

ছিন্নপত্র, ছিন্নপত্রাবলী; চিঠিপত্র, জাপান যাত্রীর পত্র; ইউরোপ প্রবাসীর পত্র।

জীবনী :

চরিত্রপূজা; মহাত্মা গান্ধী খ্রিষ্ট।

আত্মজীবনী :

ছেলেবেলা, আত্মপরিচয়, জীবনম্মৃতি ইত্যাদি।

লেখক পরিচিতি:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ছন্দে ছন্দে রবীন্দ রচনাবলী

“ চিত্রার কল্পনায় সোনার তরী
ঘরে বাইরে (সব) যোগাযোগ (ছাড়ি)
শেষের কবিতা পুনশ্চ (পড়ি)
গল্পগুচ্ছ (পড়া দিয়াছি ছাড়ি)।
মানসীর (চোখে পড়িয়াছে কালি)।
বিচিত্র প্রবন্ধ (আর) বলাকাও (যেন) চোখের বালি
ক্ষণিকার বিসর্জন রক্তকরবীর (ডালি)
গোরা (হলে ও বাবা তার) ডাকঘর (এর আরদালি)।

উপন্যাস : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১. গোরা ও চতুরঙ্গ দুইবোন শেষের কবিতা উপন্যাস লিখে যোগাযোগের জন্য ঘরে বাহিরে পাঠিয়ে দেয়। তাদের সাহায্যের জন্য রাজর্ষি ও মালঞ্চ বৌ-ঠাকুরানির হাটে যায়। পথে নৌকাডুবি হয় ও তাদের চোখে বালি ঢোকে।

২. গোরা আর মালঞ্চ যোগাযোগ করে লাইব্রেরি থেকে করুণা করে চোখেরবালি বইটি এনেছিল। কিন্তু ঘরে বাইরে বসে পড়েও চার অধ্যায় শেষ করতে পারে নি। কারণ এ দুই বোন শেষের কবিতার মতো না।

৩. ঘরে বাইরে বউ ঠাকুরানীর হাটে শেষের কবিতা শুনতে গিয়ে গোরা রাজর্ষির চোখের বালি করুণা ও চতুরঙ্গ দুইবোন যোগাযোগের জন্য নৌকাডুবিতে মারা গেল।

উপন্যাস-রবীন্দ্রনাথ : গোরা, চতুরঙ্গ, দুই বোন, শেষের কবিতা, যোগাযোগ, ঘরে বাহিরে, রাজর্ষি, মালঞ্চ, বৌঠাকুরানীর হাট, চার অধ্যায়, নৌকাডুবি, চোখের বালি।

কাব্য : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১. নবজাতকের নাম নৈবেদ্য। জন্মের পর থেকে অসুস্থ তাই সে রোগশয্যায়। এক সময় সে আরোগ্য লাভ করে। তার জন্মদিনে (কণিকা, ক্ষণিকা, চিত্রা, চৈতালী, মানসী, সেঁজুতি, সঞ্চয়িতা) হিন্দুমেলায় গিয়ে মিষ্টি বতরণ করে। উপহার হিসাবে বনফুল উৎসর্গ করে। পরে বলাকা সিনেমাহলে ছবি ও গান দেখতে যায় যার জন্য প্রয়োজন কড়ি ও কমল। সেখানে সন্ধ্যা প্রদীপ সিনামা দেখে। নায়কের নাম আকাশ প্রদীপ ও নায়িকার নাম মহুয়া শেষে শ্যামলী পরিবহনে সানাই বাজাতে বাজাতে খেয়া পার করে সোনার তরীতে।
২. স্মরণে যে কাহিনী শেষ লেখাটি ছিল পূররীর চৈতালি মহুয়া দিন। সোনার তরীর খেয়াতে ছিল চিত্রা আর কল্পনা, প্রভাতসঙ্গীতে মানসী বলাকার উৎসর্গে গেয়েছিল গীতাঞ্জলীর গান। কিন্তু সেঁজুতি আর পূররীর তা শোনে নি। তাই সে ক্ষণিকা, করি ও কোমলের মতো পুনশ্চ শুনতে লাগলো।
৩. গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ প্রথম কাব্য গ্রন্থ বনফুল (১৮৭৬) লিখে জন্মদিন-এ, মানসী, মহুয়া, শ্যামলী ও বলাকা কে নিয়ে সোনার তরী তে চিত্রা নদীর খেয়া পার হয়ে ক্ষনিকা যেয়ে আকাশ প্রদীপ জ্বেলে সন্ধ্যা সঙ্গীত গাইতেন। ছড়ার ছবি আঁকতেন এবং পুনশ্চ, নৈবদ্য, পত্র পুট, কল্পনা করে ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলীতে শেষ লেখা লেখন করে পূরবী কে উৎসর্গ করার পর চৈতালী মাসে বিচিত্রা সানাই সুরে প্রভাত সংগীত গেয়ে গল্পসল্প করতেন।
৪. পূরবী মানসী মহুয়ার বান্ধবী চিত্রা চিত্রাবলীর নবজাতকের পুনশ্চয় জন্মদিনে ভানুসিংহ ঠাকুরের প্রথম কাব্য বনফুল ও গীতাঞ্জলির শেষ লেখার লেখন প্রভাত সঙ্গীত সন্ধ্যার বিচিত্রিতা সানায়ে খেয়ার সোনার তরী বলাকায় ছড়ার ছবির মত ক্ষনিক গল্পে গল্পে শ্যমলীমায় উৎসর্গ হয়ে গেল।

কাব্য – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : নবজাতক, নৈবেদ্য, রোগশয্যায়, আরোগ্য, কণিকা, ক্ষণিকা, চিত্রা, চৈতালী, মানসী, সেঁজুতি, সঞ্চয়িতা, হিন্দু মেলার উপহার, বনফুল, বলাকা, ছবি ও গান, কড়ি ও কোমল, সন্ধ্যা প্রদিপ,আকাশ প্রদীপ, মহুয়া, শ্যামলী, সানাই, খেয়া, সোনার তরী, প্রভাত সঙ্গীত, মানসী, পূরবী, মায়ার খেলা, কল্পনা, পলাতকা, ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী, শেষ লেখা, শেষ সপ্তক, গীতাঞ্জলী, গীতালী, সন্ধ্যা, পুনশ্চ।

লেখক পরিচিতি:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নাটক-১ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১. শ্যামা ও চন্ডালিকা দুই বান্ধবী তারা অপর বান্ধবী সতী ফাল্গুনীকে নটীর পুঁজা দেয়।

২.রক্তকরবীকে বিসর্জন দিয়ে মুক্তধারার রাজা অচলায়তনে চিরকুমার সভা ডাকলেন। প্রায়চিত্তের ডাকঘরে জমলো শারদোৎসবের বসন্ত কিন্তু তাসের দেশের চিত্রাঙ্গদা বৈকুণ্ঠের খাতার মতো চণ্ডালিকা আর অবহেলিত।
৩. নাটক :- কালের যাত্রা’য় মুক্তধারার রাজা ও রানী ডাকঘরের সামনে চিরকুমার সভা ডেকে চিত্রঙ্গদা চন্ডালিকা, শ্যামা তাপসী ও মালিনীকে বললেন তাসের দেশের মুকুট রাজ বৈকুন্ঠের খাতায় অরূপরতন ও অচলায়তান বিসর্জন রক্তকরবী সংগ্রহ করতে।
৪. তাসের দেশের মুকুট রাজা ডাকঘরের পাশে রক্তকরবী গাছের নীচে বসন্তের এই চিরকুমার সভার মুক্তধারার আলোচনায় তাপসীর অরুপরতন চেহারা কালের যাত্রায় অচলায়তন হওয়ায় তাকে বিসর্জনে গিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে এ্টা কোন ধরণের মায়ার খেলা।

নাটক – ১: রবীন্দ্র : শ্যামা, চন্ডালিকা, সতী, ফাল্গুনী, নটীর, পুঁজা।

নাটক-২ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নাটক-২: রবীন্দ্রনাথ :তাসের দেশের রাজা অচলায়তন। তারা দুইভাই চিত্রাঙ্গদা ও রক্তকরবী। তারা ডাকঘরে বসে সভা করে। সভার নাম চির কুমার সভা। এই সভার সভাপতি মলিনীকে বিয়ে করে রাণী করে। এটা দেখে অপর দুই ভাই সভা বিসর্জন দিয়ে বিদায় নেয়। তারা বলে অভিশাপ দেয় – শয়তান তোর শেষ রক্ষা হবে না। আর তুই যে কাহিনী করেছিস তার প্রায়শ্চিত্ত নাই। প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবেই।

নাটক-২: রবীন্দ্রনাথ :তাসের দেশ, রাজা, অচলায়তন, চিত্রাঙ্গদা, রক্তকরবী, ডাকঘর, চিরকুমার সভা, মালিনী, রাণী, বিসর্জন, বিদায় অভিশাপ, শেষ রক্ষা, প্রায়শ্চিত্ত, প্রকৃতির প্রতিশোধ, বৈকুন্ঠের খাতা, গোড়ায় গলদ, মুক্তধারা, বাল্মীকি, প্রতিভা, মায়ার খেলা, নরক বাস, কালের যাত্রা, শারোদোৎসব।

প্রবন্ধ – রবীন্দ্রনাথ :সভ্যতার সংকট, কালান্তর, আত্মশক্তি, মানষের ধর্ম, বাংলা ভাষা পরিচয়, স্বদেশ।

ভ্রমন কাহিনী : রাশিয়ার চিঠি, ইউরোপ প্রবাসীর পত্র, জাপান যাত্রী পারস্য।

আত্মজীবনী : ছেলেবেলা, চরিত্রপুঁজা।

গানের সংকলন : গীতবিতান।

ছোট গল্প: পোস্টমাস্টার কাবুলিওয়ালা দেনা পাওনার কর্মফলে হৈমন্তির দিদির পত্র রক্ষা করতে পারল না

ছোট গল্প :– পনরক্ষ, হৈমন্তী দিদি ছুটির দিনে মেঘ ও রৌদ্র মাথায় নিয়ে ক্ষুধিত পাষান ও জীবিত ও মৃত সার কঙ্কাল অবস্থায় কাবুলিওয়ালা পোস্টমাস্টারের ডাকে মনিহার ও গুপ্তধনের সন্ধানে দেনাপাওনা ও কর্মফলের ব্যবধান চোকাতে নিশীথে রওয়ানা দিলেন। খোকা বাবুর প্রত্যাবর্তন -এ হালদার গোষ্ঠী তিন সঙ্গির শাস্তি নামঞ্জুর করলেন।

প্রেমের গল্প: দূর আশায় দৃষ্টিদান করে ল্যাবরেটরীর অধ্যাপক তার নষ্টনীড় জীবনের শেষের রাত্রির শেষ কথার সমাপ্তি টেনে স্ত্রীর কাছে পত্র লেখেন

ছোট গল্প (প্রেমের) :- ল্যাবরেটরির অধ্যাপক স্ত্রীর পত্র এর শেষ কথামত প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে এক রাত্রি নষ্টনীড় থেকে মধ্যবর্তিনী দুরাশা গস্থ সমপ্তিকে উদ্ধার করে পাত্র-পাত্রীর দৃষ্টিদানের পর শেষের মাল্যদান দিলেন।

প্রবন্ধ: কালান্তরের পঞ্চভ‚তে এখন মানুষের ধর্ম। তাই সভ্যার সংকট পড়েছে স্বদেশ সাহিত্যে। এ এক বিচিত্র প্রবন্ধ।

প্রবন্ধ :- কালাঙ্ক -এ ভারতবর্ষে রাজা প্রজা আত্মশক্তি পরিচয়ে জানল স্বদেশ এ সভ্যতার সংকট হয়েছে ফলে রবীন্দ্রনাথ প্রাচীন সাহিত্য, লোক সাহিত্য ও আধুনিক সাহিত্য সাহিত্যের পথে সাহিত্যের স্বরূপ শব্দতত্ত¡ ছন্দ ও বাংলা ভাষার পরিচয় নামে প্রবন্ধ লিখেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সোনার তরীতে খেয়া না পেয়ে পূরবী মহুয়াকে ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী উৎসর্গ করেছে। চিত্রা চৈতালীতে ক্ষণিকা বিথীকাও শ্যামলীর সাথে কড়ি ও কোমল নিয়ে খেলা করে, বিচিত্রতা কথ, কাহিনী, ছড়া বলে; মানসী বলাকা, পত্রপুটে গীতালি, গীতিমাল্য, গীতাঞ্জলি শোনায়।
রোগশয্যায় শেষ সপ্তকে পৌঁছেছি; নৈবেদ্য, সানাই, সেঁজুতি, বিংবা আকাশ প্রদীপ সবই খাপছাড়া। পুনশ্চ, এটাই শেষ লেখা।

নাটক: কালের যাত্রায় ডাকঘর অচলায়তন, রক্তকরবীর মুক্তধারায় রাজা প্রায়শ্চিত্ত করে।

উপন্যাস: বৌঠাকুরানীর হাটে চোখের বালিতে নৌকাডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। গোরা, মালঞ্চ দুই বোন ঘরে বাইরে চতুরঙ্গ রাজর্ষিকো শেষের কবিতার চার অধ্যায় পড়ে শোনায়।
রবীন্দ্রনাথের প্রথম ঃ-
উক কাছোনা :- উপন্যাস, কবিতা, কাব্য, ছোটগল্প, নাটক

কহিব ভিরু :- করূণা, হিন্দুমেলায় উপহার, বউ ঠাকুরানীর হাট, ভিখারিনী, রুদ্রচন্ড।

লেখক পরিচিতি:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Scroll to Top